۴ آذر ۱۴۰۳ |۲۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 24, 2024
ওসামা হামদান
ওসামা হামদান

হাওজা / যুদ্ধক্ষেত্রের ব্যর্থতা আলোচনার টেবিলে পুষিয়ে নিতে দেব না।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘যুদ্ধক্ষেত্রের ব্যর্থতা আলোচনার টেবিলে পুষিয়ে নিতে দেব না।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আলোচনায় হামাস কোনো রাজনৈতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না বলে মন্তব্য করেছেন এই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনের সিনিয়র নেতা ওসামা হামদান।

তিনি বলেছেন, গাজা যুদ্ধে ওয়াশিংটন ও তেল আবিব যে পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছে আলোচনার টেবিলে তাদেরকে অপকৌশল ও ফাঁকিবাজির মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে দেবে না হামাস। লেবাননে নিযুক্ত হামাসের প্রতিনিধি ও পলিটব্যুরো সদস্য হামদান সোমবার বৈরুতে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন। (ওসামা হামদান)

এখান থেকে ইসলামী মুকাওয়ামাহ্ ( مقاومة ) অর্থাৎ ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের ( Islamic Resistance ) বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্কতা স্পষ্ট হয়ে যায় । কারণ , হামাস বলছে : " যুদ্ধে ইসরাইল ও মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) যা অর্জন করতে পারে নি তা আলোচনার ( مذاکره negotiation ) টেবিলে ছলচাতুরি , কূটচাল ও অপকৌশল প্রয়োগ করে হাসিল করার চেষ্টা করে ( অর্থাৎ যুদ্ধের পরাজয় ও ব্যর্থতা রাজনৈতিক আলোচনার টেবিলে পুষিয়ে নেয় পাশ্চাত্য )। অতএব হামাসের শর্তগুলো না মানলে যুদ্ধ চলবে। আর যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয় বরণের চাইতে আলোচনার টেবিলে হারা ও পরাজয় বরণ অনেক বেশি মারাত্মক ও সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাবের অধিকারী । পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা ( যুক্তরাজ্য) , ফ্রান্স আলোচনায় প্রতিপক্ষকে প্রতারিত করতে ও ধাপ্পাবাজি দিতে বহুত নিপুণ ও ওস্তাদ । আর গত ২ শো বছরে মুসলিম বিশ্ব পাশ্চাত্য ও ইউরোপীয় সাম্রাজ্যবাদী শক্তি সমূহের কাছে রণাঙ্গনে নয় বরং আলোচনার টেবিলে সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক ভাবে পরাজিত হয়েছে ও মার খেয়েছে যেমন : মিসর , ইরান ,

উসমানী (অটোম্যান) তুরস্ক এবং মোগোল ভারত । হামাস অর্থাৎ ইসলামী মুকাওয়ামাহ ( ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ) হয়তো ইতিহাস থেকে এ শিক্ষা নিয়েছে । তাই বলতে হবে যে এটা হামাস ও ইসলামী মুকাওয়ামাহর বুদ্ধিবৃত্তিক পরিপক্কতার চিহ্ন ও নিদর্শন। অতএব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে শত্রুর কাছ থেকে গুল না খাওয়া ( گول نخوردن ) ও প্রতারিত না হওয়া ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .